,

বাংলাদেশে জুলাই-২০২৪ বিপ্লব এর মাস্টার মাইন্ড এবং এর পরিনতি:

২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশে গভীর ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা উন্মোচন করেছে। জনতার আন্দোলনে সরকার পতন হলেও প্রকৃত মাস্টারমাইন্ড ছিল ইন্দো-আমেরিকান স্বার্থ। এরা চীনের প্রভাব কমানো, ভারতের জন্য নিরাপদ রেল ট্রানজিট এবং চট্টগ্রামে মার্কিন ঘাঁটি স্থাপন করতে চায়। চিরস্থায়ী বিদেশি আধিপত্য রোধে এখনই প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময়।


বাংলাদেশে জুলাই-২০২৪ বিপ্লব এর প্রকৃত মাস্টার মাইন্ড কে?!

সত্যিই কি মাহফুজ আলম এর মত একজন পুঁচকে ছেলে? তার মত একজন নাম না জানা রাস্তার ছেলের পক্ষে কি এই বিপ্লব সংগঠিত করা সম্ভব!

শেখ মুজিবকে স্ব-পরিবারে হত্যা করার মাস্টার মাইন্ড কে? মেজর ডালিম, রশিদ গং?! নাকি ইন্দো-আমেরিকান প্ল্যান?! শেখ মুজিব ভারতের গোলামী মেনে নিতে রাজি হন নি। ইন্দিরা গান্ধীকে তিনি মাগি বলে ডাকতেন সবার সামনে। আমেরিকার পরিবর্তে শেখ মুজিব রাশিয়ান ব্লকে যোগ দিয়েছিলেন। ইন্দো-আমেরিকান প্ল্যানেই শেখ মুজিবকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। এর পরিবর্তে বি-টিম (বিএনপি), সি-টিম (জাতীয় পার্টি), ডি-টিম (জামায়াতে ইসলামি) ইত্যাদি তৈরি করা হয় যেন যখন যাকে প্রয়োজন তখন তাকে সেভাবে ব্যবহার করা যায়।

আমেরিকা বাংলাদেশের কাছে কি চায়? সেন্ট মার্টিন তথা চট্টগ্রাম এবং সেখানে আমেরিকার ঘাঁটি করতে চায়। ইন্ডিয়া বাংলাদেশের কাছে এখন কি চায়? ভারতের ৭ সিস্টার্স রাজ্যগুলোর জন্য নিরাপদ রেল ট্রানজিট এবং বাংলাদেশের উপর কর্তৃত্ব। ইন্দো-আমেরিকান গং চায় বাংলাদেশে চীনের কর্তৃত্ব কমাতে বা বাংলাদেশকে চীনের প্রভাবমুক্ত করতে।

হাসিনার কাছে ভারতের যা পাওয়ার ছিল পেয়ে গেছে। হাসিনা নিজেই বলেছে, “ভারতকে যা দিয়েছি তা ভারত ভুলবে না।” কিন্তু হাসিনা ভুলে গেছে যে রাক্ষসের ক্ষুধা কখনও মেটে না। হাসিনার পক্ষে ভারতকে নিরাপদ ট্রানজিট দেয়া এবং আমেরিকাকে সেন্ট মার্টিন বা চট্রগ্রামে আমেরিকার ঘাঁটি করতে দেয়া সম্ভব না। তাই হাসিনাকে সাময়িক ভাবে ক্ষমতা থেকে উৎক্ষাত করা ছাড়া ইন্দো-আমেরিকার আর কোন উপায় ছিল না।

ইন্দো-আমেরিকান প্ল্যানেই হয়েছে জুলাই-২৪ বিপ্লব। বিপ্লবের পর ক্ষমতায় কারা এসেছে সেটা দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন। বিপ্লব করল ছাত্র জনতা। রক্ত দিল ছাত্র এবং গরীব জনতা। আর ক্ষমতায় এসেছে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার এর কলামিস্টরা। এই প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার এর কলামিস্টরা হাসিনার চাইতে ১০০০ গুন বড় ভারত এবং আমেরিকার দালাল।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে ভারতের বিজেপি আমেরিকান ব্লকের সদস্য হবার পরেও কেন এখন সেন্ট মার্টিন এবং চট্রগ্রামে আমেরিকার ঘাঁটি করার বিরুদ্ধে বলছে এবং ভারত নিজেই হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অজুহাতে চট্রগ্রাম দখল করতে চাইছে?! আসলে আমেরিকার বাংলাদেশে ঘাঁটি করার মত কোন অজুহাত নেই। তাই প্রথমে ভারত হিন্দু নির্যাতনের অজুহাতে চট্রগ্রামের দখল নিতে চায়। তখন ড. ইউনুসের বন্ধু আমেরিকা বাংলাদেশের মানুষকে উদ্ধার করার জন্য চট্রগ্রামে এসে ঘাঁটি করবে এবং ভবিষ্যতে যেন ভারত আর বাংলাদেশ দখল করতে না পারে সেজন্য সেখানেই চিরস্থায়ী ভাবে ঘাঁটি করবে এবং সেটার সম্পুর্ন ব্যয় বাংলাদেশ বহন করবে আজীবন। ভারতকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য নিরাপদ রেল ট্রানজিট দেয়া হবে এবং ভারতের কাছে চিরন্তন গোলামীর চুক্তি করা হবে।

কাজেই জুলাই ২৪ বিপ্লবের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের চট্রগ্রামে আমেরিকার ঘাঁটি স্থাপনের ব্যবস্থা করা, ভারতের কাছে নিরাপদ রেল ট্রানজিট এর ব্যবস্থা করা এবং বাংলাদেশকে চীনের বলয় মুক্ত করা। পরবর্তীতে দরকার হলে আবার এই ইন্দো-আমেরিকান গং হাসিনা বা তার মেয়ে পুতুল এবং আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে বা তাদের দালাল ইউনুস তথা প্রথম আলো, ডেইলি স্টার এর কলামিস্ট তথাকথিত সুশীল সমাজের হাতেই ক্ষমতা থেকে যাবে।

কাজেই জুলাই ২৪ বিপ্লব এর মূল লক্ষ্য হল বাংলাদেশকে ইন্দো-আমেরিকান গং এর কাছে চিরন্তন গোলামীর ফাঁদে ফেলা। যারা ভেবেছিলেন ড. ইউনুস বাংলাদেশকে ভারতের গোলামী থেকে মুক্তি দেবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। আপনারা হয় চিরন্তন গোলামীর জন্য প্রস্তুতি নিন নতুবা বর্তমান হক্কানি রব্বানী অলি আল্লাহর অধীনে বাংলাদেশে খিলাফত শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করুন। একমাত্র ইসলামি শাসন ব্যবস্থা খিলাফত কায়েম এর মাধ্যমেই আমরা এই ইন্দো-আমেরিকান চক্রান্ত থেকে মুক্তি পেতে পারি।

মুহম্মদ শফিকুল ইসলাম,
সাগরপাড়া, রাজশাহী।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *